Tuesday, January 29, 2019
একদিনের মাওয়া ভ্রমণ! ১। মাওয়া ঘাট ২। পদ্মা রিসোর্ট ৩। মৃধা বাড়ি ৪। শামুর বাড়ি
January 29, 2019
সকালে বাসা থেকে বের হয়ে একটা ছোট ট্যুর দিয়ে আসতে চাইলে মাওয়া ঘুরে আসতে পারেন। মাওয়া গেলে ৪ টি স্পট একসাথে ঘুরে আসতে পারবেন।
১। মাওয়া ঘাট
২। পদ্মা রিসোর্ট
৩। মৃধা বাড়ি
৪। শামুর বাড়ি
সবমিলিয়ে প্রতিজন খরচ হবে ৪০০ টাকার মতন।
১। মাওয়া ঘাট
২। পদ্মা রিসোর্ট
৩। মৃধা বাড়ি
৪। শামুর বাড়ি
সবমিলিয়ে প্রতিজন খরচ হবে ৪০০ টাকার মতন।
কিভাবে যাবেন:
ঢাকার গুলিস্তান থেকে বাসে যেতে পারবেন মাওয়া। নন এসি বাস জনপ্রতি ৭০ টাকা আর এসি ১০০ টাকা ভাড়া। ১০/১২ জনের গ্রুপ হলে একটা নোয়া গাড়ি কিংবা মাইক্রো ভাড়া করেও চলে যেতে পারেন। ঢাকা থেকে মাওয়া প্রায় ৪০ কিলোমিটার। আমরা ৮ জন ছিলাম। একটা নোয়া নিয়ে গিয়েছিলাম। সকাল-সকাল ৮ টার দিকে রওনা দিয়ে ২ ঘণ্টার কম লেগেছে পৌঁছাতে। রাস্তার এবং ব্রিজের কাজ চলায়, রাস্তার অবস্থা খুব একটা ভালো না এখন। যাওয়ার চেয়ে ঢাকায় ফেরার পথের অবস্থা বেশি খারাপ।
আমরা প্রায় ১১ টার দিকে মাওয়া ঘাট পৌঁছে যাই। এরপর সেখানে দেরি না করে চলে যাই পদ্মা রিসোর্ট। গাড়ি থাকলে তো ডাইরেক্ট চলে গেলেন আর নাইলে ঘাট থেকে অটো ভাড়া করেও যেতে পারেন। অটো ভাড়া জনপ্রতি ৩০ টাকা। মাওয়া ঘাট থেকে পদ্মা রিসোর্ট ৬ কিলোমিটার। এরপর ওইখানে যাবার পর ইঞ্জিন চালিত নৌকা দিয়ে নদী পার হয়ে রিসোর্টে যেতে হয়। নদী পার হতে ৫ মিনিট সময় লাগে। পদ্মা রিসোর্টের নিজস্ব নৌকা রয়েছে যেখানে অনায়াসে ১৫/২০ জন বসতে পারে। নৌকার মাঝিকে ৫০ টাকা দিতে হবে, নৌকা পারাপারের ভাড়া আর রিসোর্টে ঢুকার এন্ট্রি ফী হলো এই ৫০ টাকা। ফেরার সময় নৌকায় আর ভাড়া দিতে হবে না। অর্থাৎ নৌকা দিয়া যাওয়া + আসা + রিসোর্ট এন্ট্রি = জনপ্রতি ৫০ টাকা।
ঢাকার গুলিস্তান থেকে বাসে যেতে পারবেন মাওয়া। নন এসি বাস জনপ্রতি ৭০ টাকা আর এসি ১০০ টাকা ভাড়া। ১০/১২ জনের গ্রুপ হলে একটা নোয়া গাড়ি কিংবা মাইক্রো ভাড়া করেও চলে যেতে পারেন। ঢাকা থেকে মাওয়া প্রায় ৪০ কিলোমিটার। আমরা ৮ জন ছিলাম। একটা নোয়া নিয়ে গিয়েছিলাম। সকাল-সকাল ৮ টার দিকে রওনা দিয়ে ২ ঘণ্টার কম লেগেছে পৌঁছাতে। রাস্তার এবং ব্রিজের কাজ চলায়, রাস্তার অবস্থা খুব একটা ভালো না এখন। যাওয়ার চেয়ে ঢাকায় ফেরার পথের অবস্থা বেশি খারাপ।
আমরা প্রায় ১১ টার দিকে মাওয়া ঘাট পৌঁছে যাই। এরপর সেখানে দেরি না করে চলে যাই পদ্মা রিসোর্ট। গাড়ি থাকলে তো ডাইরেক্ট চলে গেলেন আর নাইলে ঘাট থেকে অটো ভাড়া করেও যেতে পারেন। অটো ভাড়া জনপ্রতি ৩০ টাকা। মাওয়া ঘাট থেকে পদ্মা রিসোর্ট ৬ কিলোমিটার। এরপর ওইখানে যাবার পর ইঞ্জিন চালিত নৌকা দিয়ে নদী পার হয়ে রিসোর্টে যেতে হয়। নদী পার হতে ৫ মিনিট সময় লাগে। পদ্মা রিসোর্টের নিজস্ব নৌকা রয়েছে যেখানে অনায়াসে ১৫/২০ জন বসতে পারে। নৌকার মাঝিকে ৫০ টাকা দিতে হবে, নৌকা পারাপারের ভাড়া আর রিসোর্টে ঢুকার এন্ট্রি ফী হলো এই ৫০ টাকা। ফেরার সময় নৌকায় আর ভাড়া দিতে হবে না। অর্থাৎ নৌকা দিয়া যাওয়া + আসা + রিসোর্ট এন্ট্রি = জনপ্রতি ৫০ টাকা।
রিসোর্টে যাবার পর আপনি দেখতে পাবেন ছোট ছোট অনেক কটেজ রয়েছে। খুব সুন্দর ডিজাইন এবং রঙ একেকটা কটেজের। এরপর আপনি চাইলে এখানে ২ ঘন্টার মতন সময় কাটাতে পারেন। এরপর আমরা ১:৩০ টার দিকে আবার মাওয়া ঘাটে যাই। সেখানে গিয়ে দুপুরের খাবার খাই আমরা। অনেক হোটেল রয়েছে সেখানে, রয়েছে হরেক রকমের খাবার। ভিডিওতে আইটেমগুলোর একটা ওভারভিউ দেয়া হয়েছে, দেখে নিবেন। যদি অনেকজন থাকেন, তাহলে গোটা ইলিশ কিনতে পারেন। ৭/৮ পিস হয়। পুরো ইলিশ ভাজা + লেজের ভর্তা সহ আমাদের নিয়েছিলো ৬০০ টাকা। ভাত = ১৫ টাকা, আলু ভর্তা = ১০ টাকা, বেগুন ভাজি = ১৫ টাকা, টাকি মাছের ভর্তা = ২০ টাকা।
এরপর দুপুরের খাবার শেষে আমরা রওনা দেই মৃধা বাড়ির উদ্দেশ্যে। ফেরি ঘাট থেকে মৃধা বাড়ি প্রায় ১১ কিলোমিটার। মৃধা বাড়িটি ৩ তলা একটি টিনের বাড়ি যা দেখতে খুবই সুন্দর এবং এর চারপাশে রয়েছে বাগান। (ভিডিও তে মৃধা বাড়ি দেখতে পাবেন) এরপর আমরা চলে যাই শামুর বাড়ি। শামুর বাড়ি প্রায় ২ কিলোমিটার হবে মৃধা বাড়ি থেকে। যদি আপনি মৃধা বাড়িতে আসেন তাহলে শামুর বাড়ি যাবার জন্য অবশ্যই রিজার্ভ করে আসবেন নাহলে সেখানে আর অটো পাবেন না। মৃধা বাড়ি ঘুরতে আপনার সর্বোচ্চ ৩০ মিনিট লাগবে। তাই আধা ঘণ্টার মতন ঘুরে, এরপর আমরা চলে যাই শামুর বাড়ি।
শামুর বাড়ি তে গেলে আপনি সবচেয়ে বেশি উপভোগ করবেন। এই ভিডিওর শেষ অংশ জুড়ে পুরোটাই শামুর বাড়ি। এখান থেকেই দেখতে পাবেন নদীর অপরূপ সৌন্দর্য। খুব অনায়াসেই আপনি ২ ঘণ্টা কাটিয়ে দিতে পারবেন। সবচেয়ে বেশি উপভোগ করবেন যখন সূর্যের তেজ কমে আসবে এবং সূর্যের আভা পানিকে স্পর্শ করবে। খুবই অপরূপ সেই সৌন্দর্য। সময় থাকলে আপনি নদীতে নৌকা দিয়েও ঘুরতে পারেন। আমাদের সময় না থাকায় আমরা সেখান থেকে বিকাল ৫ টায় ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেই। পদ্মা রিসোর্ট ঘুরতে গেলে, আমি বলবো অবশ্যই শামুর বাড়ি ঘুরে আসবেন। খুবই সুন্দর জায়গাটা।
দূরত্ব:
ঢাকা থেকে মাওয়া ৪০ কিলো, মাওয়া ঘাট থেকে পদ্মা রিসোর্ট ৬ কিলো, পদ্মা রিসোর্ট থেকে মৃধা বাড়ি ৫ কিলো, মৃধা বাড়ি থেকে শামুর বাড়ি ২ কিলো।
ঢাকা থেকে মাওয়া ৪০ কিলো, মাওয়া ঘাট থেকে পদ্মা রিসোর্ট ৬ কিলো, পদ্মা রিসোর্ট থেকে মৃধা বাড়ি ৫ কিলো, মৃধা বাড়ি থেকে শামুর বাড়ি ২ কিলো।
Wednesday, November 14, 2018
সেলেব্রিটি নির্বাচন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে
November 14, 2018
আহা সেলেব্রিটি নির্বাচন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে
মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন
শাকিল খান- বাগেরহাট ৩
ডিপজল- ঢাকা ১৪
কবরী- ঢাকা ১৭
মমতাজ -মানিকগঞ্জ ২
তারানা হালিম- টাঙ্গাইল ৬
রোকেয়া প্রাচী- ফেনী ৩
মাশরাফি - নড়াইল ২
ডিপজল- ঢাকা ১৪
কবরী- ঢাকা ১৭
মমতাজ -মানিকগঞ্জ ২
তারানা হালিম- টাঙ্গাইল ৬
রোকেয়া প্রাচী- ফেনী ৩
মাশরাফি - নড়াইল ২
Tuesday, November 13, 2018
নাটোর-১ আসন থেকে এবার নৌকার মাঝি হতে চাইছেন মা, ছেলে ও চাচা
November 13, 2018
শুক্রবার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে স্বশরীরে দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন মা ও ছেলে। আর শনিবার মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন চাচা।
১৯৮৬ সালের তৃতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী সাবেক সংসদ সদস্য শহীদ মমতাজ উদ্দীনের সহধর্মিণী ও নবম সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেফালী মমতাজ শুক্রবার মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় মায়ের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন শেফালী মমতাজের ছেলে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক শামীম আহম্মেদ সাগর।
এদিকে সাবেক এমপি শহীদ মমতাজ উদ্দীনের ভাই ও শামীম আহম্মেদ সাগরের আপন চাচা দশম সংসদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত বর্তমান সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।
তারা প্রত্যেকেই আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী এবং নৌকা প্রতীকে নির্বাচনে আগ্রহী। মনোনয়ন সংগ্রহের পর তারা আশা প্রকাশ করেন, মনোনয়ন পেলে তারা জয় লাভ করবেন।
একই আসনে মা, ছেলে ও চাচার মনোনয়ন সংগ্রহ নিয়ে এলাকায় জোর আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
এ আসনে ১৯৭৩ সালের প্রথম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নৌকা প্রতীক নিয়ে ডা. আলা উদ্দিন বিজয়ী হন। দ্বিতীয় সংসদ নির্বাচনে আব্দুল মান্নান (বিএনপি) নির্বাচিত হন এবং সংসদের হুইপ নিযুক্ত হন।
১৯৮৬ সালে ৩য় সংসদ নির্বাচনে মমতাজ উদ্দিন (স্বতন্ত্র), ১৯৮৮ সালের ৪র্থ সংসদ নির্বাচনে নওশের আলী সরকার বাদশা (স্বতন্ত্র) নির্বাচিত হন। আর ৫ম থেকে ৭ম পর্যন্ত বিএনপির ফজলুর রহমান পটল নির্বাচিত হন এবং যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হন।
এছাড়া ২০০৮ সালের নবম সংসদে আবু তালহা (জাতীয় পাটি) এবং ২০১৪ সালের দশম সংসদে বর্তমান এমপি আবুল কালাম (আওয়ামী লীগ) বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
Monday, November 12, 2018
৬১ নাটোর - ৪ আসনে নতুন প্রজন্মের দাবীর মুখে মনোনয়ন পত্র উত্তোলন করলেন মোয়াজ্জেম হোসেন বাবলু ভাই
November 12, 2018
নিজের মনের সাথে অনেক যুদ্ধ করে, ৬১ নাটোর - ৪ আসনে নতুন প্রজন্মের দাবীর মুখে মনোনয়ন পত্র উত্তোলন করলেন Moazzem Hossain Bablu। সকলের দোয়া প্রত্যাশা করি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যাকে মনোনয়ন দিবেন। তিনিই হবেন নৌকার মাঝি।
প্রতিটি গ্রামেগন্জে হাটে মাটে যার নির্বাচনীয় গনসংযোগ চলছে ১৫/২০বছর ধরে। যে ব্যাক্তি নাটোর ৪ আসনের প্রতি ঘরের হাঁড়ির খবর পর্যন্ত রাখছেন। যাকে সবাই রাজনীতির যাদুঘর হিসাবে চিনেন। সেই প্রিয় নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন বাবলু ভাই তিনি নির্বাচনে নাটোর ৪ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবেন । খুব তাড়াতাড়ি লক্ষ্য জনতার আশা সপ্ন পুরন করতে বঙ্গবন্ধুর নৌকার মাঝি হয়ে আমাদের মাঝে পিরে আসছেন ইন্সাআল্লাহ । সবাই দোয়া এবং আর্শিবাদ করবেন। প্রিয় নেতার জন্য।
প্রতিটি গ্রামেগন্জে হাটে মাটে যার নির্বাচনীয় গনসংযোগ চলছে ১৫/২০বছর ধরে। যে ব্যাক্তি নাটোর ৪ আসনের প্রতি ঘরের হাঁড়ির খবর পর্যন্ত রাখছেন। যাকে সবাই রাজনীতির যাদুঘর হিসাবে চিনেন। সেই প্রিয় নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন বাবলু ভাই তিনি নির্বাচনে নাটোর ৪ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবেন । খুব তাড়াতাড়ি লক্ষ্য জনতার আশা সপ্ন পুরন করতে বঙ্গবন্ধুর নৌকার মাঝি হয়ে আমাদের মাঝে পিরে আসছেন ইন্সাআল্লাহ । সবাই দোয়া এবং আর্শিবাদ করবেন। প্রিয় নেতার জন্য।
বড়াইগ্রামে আড়াই মণ গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
November 12, 2018
বড়াইগ্রামে আড়াই মণ গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার র্যাব-৫, রাজশাহীর সিপিসি-২, নাটোর ক্যাম্পের একটি অপারেশন দল সোমবার দুপুর ২টার টার দিকে নাটোরের বড়াইগ্রাম থেকে প্রায় আড়াই মণ গাঁজা সহ সোহেল রানা (২৪) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে।
র্যাব-৫ এর কোম্পানী কমান্ডার এএসপি মো. আজমল হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কের বড়াইগ্রামের রয়না পেট্রোল পাম্প এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি ট্রাক (ঢাকা মেট্রো-ট-১১-৫৮৯২) আটক করা হয়। পরে সে ট্রাকে তল্লাশী চালিয়ে ৯৮ কেজি ৩’শ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়। আটক সোহেল রানা চাপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার চন্ডীপুর গ্রামের আব্দুল হাসিবের ছেলে। এ ব্যাপারে সোহেল রানার বিরুদ্ধে মাদক আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং রাতে তাকে জেলা হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
র্যাব-৫ এর কোম্পানী কমান্ডার এএসপি মো. আজমল হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কের বড়াইগ্রামের রয়না পেট্রোল পাম্প এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি ট্রাক (ঢাকা মেট্রো-ট-১১-৫৮৯২) আটক করা হয়। পরে সে ট্রাকে তল্লাশী চালিয়ে ৯৮ কেজি ৩’শ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়। আটক সোহেল রানা চাপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার চন্ডীপুর গ্রামের আব্দুল হাসিবের ছেলে। এ ব্যাপারে সোহেল রানার বিরুদ্ধে মাদক আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং রাতে তাকে জেলা হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
Sunday, November 11, 2018
নাটোর-৪ আসনে দলীয় মনোনয়ন ফর্ম জমা দেওয়ার কার্যক্রম সম্পাদন করলেন সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী
November 11, 2018
আসন্ন জাতীয় একাদশ সংসদ নির্বাচন নাটোর-৪ (বড়াইগ্রাম- গুরদাস্পুর) আসনে দলীয় মনোনয়ন ফর্ম জমা দেওয়ার কার্যক্রম সম্পাদন করলেন ডাঃ মোঃ সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী। চেয়ারম্যান বড়াইগ্রাম উপজেলা পরিষদ. স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক,নাটোর জেলা শাখা Bangladesh Awami League
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৬১ নাটোর ৪ (গুরুদাসপুর- বড়াইগ্রাম) আসনের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ও সহযোগী সংগঠনের বঞ্চিত লাঞ্চিত অবহেলিত অপমানিত নিগৃহীত নেতা কর্মীদের ও নির্বাচনী এলাকার আপামর জনসাধারণের স্বপ্ন পূরণের পথে আরও একধাপ এগিয়ে।
মনোনয়ন পত্র উত্তোলন করা হয়েছে।
মনোনয়ন পত্র দাখিল সম্পন্ন হয়েছে।
এখন শুধু একটু অপেক্ষা করা।
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৬১ নাটোর ৪ (গুরুদাসপুর- বড়াইগ্রাম) আসনের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ও সহযোগী সংগঠনের বঞ্চিত লাঞ্চিত অবহেলিত অপমানিত নিগৃহীত নেতা কর্মীদের ও নির্বাচনী এলাকার আপামর জনসাধারণের স্বপ্ন পূরণের পথে আরও একধাপ এগিয়ে।
মনোনয়ন পত্র উত্তোলন করা হয়েছে।
মনোনয়ন পত্র দাখিল সম্পন্ন হয়েছে।
এখন শুধু একটু অপেক্ষা করা।
Thursday, November 8, 2018
miscarrige অকাল গর্ভপাত/মিসক্যারেজ সম্পর্কে জেনে রাখুন অত্যন্ত জরুরী বিষয়!
November 08, 2018
গর্ভাবস্থার একদম শুরুতেই সন্তানকে হারিয়ে ফেলেন কেউ কেউ, হয়ে যায় অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভপাত। অনেকেই, বিশেষ করে পুরুষেরা মনে করেন যে ২/১ মাসের সময়ে তো কেবল ভ্রূণ ছিল, সন্তান হিসাবে বেড়ে ওঠেনি। তাই হয়তো এতটা কষ্ট পাওয়াটা বাড়াবাড়ি। কিন্তু আসলে যার সাথে এই ঘটনা ঘটে, কেবল তিনিই জানেন এর বেদনা। এমন একটি ঘটনা ঘটে পারে যে কোন দম্পতির সাথে। তাই স্বামী ও স্ত্রী উভয়েই জেনে রাখুন এই ৭টি জরুরী ব্যাপার।
১) ২/১ মাস কিংবা মাত্র কয়েক সপ্তাহ হয়েছিল বলেই যে ভ্রূণটি আপনার সন্তান ছিল না, বিষয়টা তেমন নয়। গর্ভপাত আর সন্তান হারানো একই ব্যাপার। তাই শোকের বিষয়টিকে শোক হিসাবেই নিন এবং সাবধান হয়ে যান। নারীরা এই শোক কাটিয়ে ওঠার জন্য প্রায়ই পারিবারিক চাপের মুখে পড়েন, যা একেবারেই অনুচিত। এমন সময়ে স্বামী ও স্ত্রী পরস্পরের অবলম্বন হয়ে থাকতে হবে।
২) গর্ভপাতের জন্য বেশিরভাগ খেত্রেই নারী নিজেকে দোষারোপ করেন, যা একেবারেই অনুচিত। অনেক সময় স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেরাও নারীকেই দোষ দিয়ে থাকেন। এই কাজটি করে উল্টো শোকে কাতর মাকে আরও ভেঙে ফেলা হয়। নারী নিজে নিজেকে দোষ যেমন দেবেন না, তেমনই পরিবারেরও দায়িত্ব তাঁকে দোষ না দেয়া।
৩) এমন কারো সাথে কথা বলুন যিনি এই অবস্থার মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন, এমন একটি দুর্ঘটনা তাঁদের সাথেও ঘটেছে। এই ব্যাপারটি আপনার কষ্ট কম করতে ও পরবর্তী করণীয় বুঝতে খুব সাহায্য করবে।
৪) একটি গর্ভপাত হয়ে গেলো বলেই পুনরায় সন্তান নেয়ার জন্য তড়িঘড়ি শুরু করবেন না, তাহলে পরবর্তীতে আবারও এই দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। শারীরিক ও মানসিক উভয় প্রকার প্রস্তুতিই দরকার আবারও সন্তানের চেষ্টা করে। নারীর যেমন দরকার, তেমনই পুরুষের দরকার। তবে হ্যাঁ, সময়টা নারীর জন্যই বেশী জরুরী।
৫) শরীরকে সেরে ওঠার সময় দিন। সন্তান ধারণ ও অকালে তাঁকে হারিয়ে ফেলা একজন নারীর দেহের জন্য অনেক বড় একটি ধাক্কা। এই ধাক্কা সামলে, নিজেকে যত্ন করে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠুন। এতে মানসিক অবস্থা যেমন ভালো হয়ে উঠবে। তেমনই পরবর্তীতে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা কমে যাবে।
৬) লজ্জিত হবেন না কিংবা নিজেকে চার দেয়ালের মাঝে আটকে রাখবেন না। বাইরে যান, মানুষের সাথে মিশুন। নিজের কষ্টের ব্যাপারে কথা বলুন, লিখুন। ফেসবুক , নলগ থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত ডায়রি, অনেক কিছুই হতে পারে কষ্ট প্রকাশের মাধ্যম।
৭) একবার গর্ভপাত হয়েছে বলেই এটা ধরে নেবেন না যে আপনার আর সন্তান হবে না বা আপনার কোন অসুবিধা আছে। সাহস রাখুন মনে এবং উপযুক্ত ডাক্তারই পরামর্শ নিন। গর্ভপাত মানেই সন্তান ধারণে অসুবিধা নয়।
Wednesday, November 7, 2018
Travel panchagar পঞ্চগড় থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দর্শন
November 07, 2018
পঞ্চগড় থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দর্শন
কিভাবে যাবেন:
ঢাকা থেকে হানিফ, নাবিল, শ্যামলীর ভালো ভালো বাস আছে সরাসরি পঞ্চগড় যায়। পঞ্চগড়ে থাকার জন্য ৩০০-৫০০টাকায় থাকার হোটেল পাবেন। চাইলে সকালে বাস থেকে নেমে গোটা পঞ্চগড় দেখে রাতের বাসে ঢাকায় পোঁছাতে পারবেন। খাওয়াদাওয়ার খরচ একেবারেই কম। কাঞ্চনজঙ্ঘার দর্শনের পাশাপাশি দেখতে পারেন রৌশনপুর টি এস্টেট, মহারাজার দিঘী, তেঁতুলিয়া ডাক বাংলো। সকাল কিংবা পড়ন্ত বিকেলে রৌশনপুর টি এস্টেট এর আশপাশ থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে পারবেন। এছাড়াও দেখতে পারবেন মির্জাপুর শাহী মসজিদ, কাজলদিঘী, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর।
কখন যাবেন:
কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে চাইলে এখন থেকে ডিসেম্বরের শুরুর সময় পর্যন্ত পারফেক্ট সময়। কাঞ্চনজঙ্ঘা ও দার্জিলিংয়ের পাহাড় গুলোর দেখা পাওয়ার সর্বোত্তম সময় অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে ডিসেম্বরের শুরুর দিক পর্যন্ত, অর্থ্যাৎ পুরা হেমন্তকালটা, যত দিন আকাশ মেঘ ও কুয়াশামুক্ত থাকে।
কিভাবে যাবেন:
ঢাকা থেকে হানিফ, নাবিল, শ্যামলীর ভালো ভালো বাস আছে সরাসরি পঞ্চগড় যায়। পঞ্চগড়ে থাকার জন্য ৩০০-৫০০টাকায় থাকার হোটেল পাবেন। চাইলে সকালে বাস থেকে নেমে গোটা পঞ্চগড় দেখে রাতের বাসে ঢাকায় পোঁছাতে পারবেন। খাওয়াদাওয়ার খরচ একেবারেই কম। কাঞ্চনজঙ্ঘার দর্শনের পাশাপাশি দেখতে পারেন রৌশনপুর টি এস্টেট, মহারাজার দিঘী, তেঁতুলিয়া ডাক বাংলো। সকাল কিংবা পড়ন্ত বিকেলে রৌশনপুর টি এস্টেট এর আশপাশ থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে পারবেন। এছাড়াও দেখতে পারবেন মির্জাপুর শাহী মসজিদ, কাজলদিঘী, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর।
কখন যাবেন:
কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে চাইলে এখন থেকে ডিসেম্বরের শুরুর সময় পর্যন্ত পারফেক্ট সময়। কাঞ্চনজঙ্ঘা ও দার্জিলিংয়ের পাহাড় গুলোর দেখা পাওয়ার সর্বোত্তম সময় অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে ডিসেম্বরের শুরুর দিক পর্যন্ত, অর্থ্যাৎ পুরা হেমন্তকালটা, যত দিন আকাশ মেঘ ও কুয়াশামুক্ত থাকে।
Sunday, November 4, 2018
নাটোরের কাঁচাগোল্লা,Naorer kachagolla
November 04, 2018
নাটোরের কাঁচাগোল্লা, নামেই যার খ্যাতি স্বাদে অতুলনীয় মিষ্টান্ন ‘নাটোরের কাঁচাগোল্লা’। নামে কাঁচাগোল্লা হলেও এ মিষ্টান্নকিন্তু কাঁচা নয়, আবার দেখতে গোলও নয়। খাঁটি দুধের তৈরি ছানা আর পরিমাণমত চিনি দিয়ে তৈরি হয় একাঁচাগোল্লা।কাঁচাগোল্লা তৈরির সঙ্গে যারা সরাসরি জড়িত ছিলেন, সেসব কারিগরদের উত্তরসূরিদের বেশিরভাগই
ভারত ও পাকিস্তান বিভক্ত হওয়ার পর ভারতে চলে যান।অনেকেই এ পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় চলে গেছেন।
সর্বোপরি কাঁচাগোল্লা নিয়ে কোনো গবেষণার কথাও শোনা যায় না। তাই কাঁচাগোল্লার সঠিক ইতিহাস তুলে
ধরা দূরহ ব্যাপার।কাঁচাগোল্লা তৈরি শুরু হয় ঠিক কবে তা নিয়ে খোদ
নাটোর শহরেই ভিন্ন ভিন্ন জনশ্রুতি রয়েছে। শহরের শুকুলপট্টি এলাকার লোকজনদের মধ্যে জনশ্রুতি রয়েছে,
নাটোরের রাজস্ট্যাটের বড় তরফের নাজা গোবিন্দ্রনাথের স্ত্রী ব্রজসুন্দরীর দত্তকপুত্র মহারাজা
জগদ্রিন্দ্রনাথ নাথ রায় একটু খেয়ালী প্রকৃতির ছিলেন।একদিন গভীর রাতে মিষ্টি খাওয়ার বায়না ধরেন
তিনি। ডাকা হল রাজ কারিগরকে। কিন্ত এত রাতেকোথায় পাওয়া যাবে মিষ্টি? কিভাবেই বা মিষ্টি
তৈরি হবে? হঠাৎ কারিগর গাভি দুইয়ে দুধ সংগ্রহ করে সেই দুধ উনুনে জ্বাল দিয়ে ছানা তৈরি করে তাতে চিনিমিশিয়ে অল্প সময়ের মধ্যে সুস্বাদু মিষ্টি তৈরি করেমহারাজাকে খেতে দিলেন।মহারাজা খেয়ে খুব খুশি। এমন স্বাদের মিষ্টির নামজানতে চাইলেন তিনি কারিগরের কাছে, কারিগর
কোন কিছু চিন্তা-ভাবনা না করেই বললেন‘কাঁচাগোল্লা’।অন্য এক বর্ণনায় পাওয়া যায়, নিতান্ত দায়ে পড়েই
তৈরি হয়েছিল এই মিষ্টি। শহরের নিচাবাজারে মধুসূদনদাস নামে এক ব্যক্তির দোকান ছিল। নাটোরের প্রসিদ্ধ
এ মিষ্টির দোকান থেকে প্রতিদিন ট্রেনে করে ৪০/৫০ টিন বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি কোলকাতায় যেত। মিষ্টিরটিনের গায়ে লেখ থাকত মধুসূদন দাস।
মধুসূদন দাসের দোকানে বেশ কয়েকটি বড় বড় চুলা ছিল।দোকানে দশ পনের জন দক্ষ কারিগর কাজ করতেন।
একদিন মিষ্টির দোকানের বেশিরভাগ কারিগর আসেনি। মধুসূদনের তো মাথায় হাত! এত ছানা এখন কীহবে? এই চিন্তায় তিনি অস্থির। নষ্টের হাত থেকেরক্ষা পেতে ছানাতে চিনি ঢেলে জ্বাল দিয়ে নামিয়ে
রাখা হয়।দেখা যায়, চিনিমেশানো ছানার দারুণ স্বাদ হয়েছে। নতুন মিষ্টান্নর নাম দেওয়া হলো
কাঁচাগোল্লা।শহরের রানীভবানী প্রতিষ্ঠিত জয়কালী মন্দির সংলগ্ন দ্বারকানাথ কুন্ডু মিষ্টির দোকানে ১৬০ বছর ধরে
সুনামের সঙ্গে কাঁচাগেল্লাসহ অন্যান্য মিষ্টি তৈরি হয়ে আসছে। বড়গাছা এলাকার দ্বারিকা নাথ কুন্ডু একইসঙ্গে ছিলেন কারিগর ও দোকানের মালিক। তার মৃত্যুরপর তার ছেলে ননীগোপাল কুন্ডু দোকানের হাল ধরেন।
তিনি মারা গেলে বর্তমানে তার ছেলে রবীন্দ্রনাথকুন্ডু সুনামের সঙ্গে কাঁচাগোল্লা তৈরি ও বিক্রি
করছেন।বর্তমানে নিচাবাজার কুন্ডুর দোকান, জয়কালি মিষ্টিরদোকান, মৌচাক মিষ্টান্ন ভাণ্ডারসহ বেশ কিছু
দোকানে মানসম্মত কাঁচাগোল্লা পাওয়া যায়। প্রকৃতস্বাদ পেতে হলে প্রতিকেজি কাঁচাগোল্লার দাম পড়বে
শীতের মৌসুমে দেশের
বিভিন্ন স্থান থেকে প্রচুর দর্শনার্থী পর্যটক নাটোরেরজয়কালীবাড়ি, উত্তরা গণভবন, নাটোর রানীভবানী
রাজবাড়িতে ভ্রমণে আসেন। এ সময় কাঁচাগোল্লা
বিক্রির ধুম পড়ে যায়। এছাড়া, ঈদের আগে বিক্রিরপরিমাণ বেড়ে যায়।
নাটোরের বাস টার্মিনাল ও রেল স্টেশনে হকাররা যেকাঁচাগোল্লা বিক্রি করেন, তা আসল কাঁচাগোল্লা নয়।
যাত্রীরা প্রকৃত কাঁচাগোল্লা সম্পর্কে না জানার
সুবাদে এ প্রতারণার আশ্রয় নেয় হকাররা। তাই আসল কাঁচাগোল্লার স্বাদ পেতে শহরের ভেতরের দোকান
থেকে কেনাই বুদ্ধিমানের কাজ।
সর্বোপরি কাঁচাগোল্লা নিয়ে কোনো গবেষণার কথাও শোনা যায় না। তাই কাঁচাগোল্লার সঠিক ইতিহাস তুলে
ধরা দূরহ ব্যাপার।কাঁচাগোল্লা তৈরি শুরু হয় ঠিক কবে তা নিয়ে খোদ
নাটোর শহরেই ভিন্ন ভিন্ন জনশ্রুতি রয়েছে। শহরের শুকুলপট্টি এলাকার লোকজনদের মধ্যে জনশ্রুতি রয়েছে,
নাটোরের রাজস্ট্যাটের বড় তরফের নাজা গোবিন্দ্রনাথের স্ত্রী ব্রজসুন্দরীর দত্তকপুত্র মহারাজা
জগদ্রিন্দ্রনাথ নাথ রায় একটু খেয়ালী প্রকৃতির ছিলেন।একদিন গভীর রাতে মিষ্টি খাওয়ার বায়না ধরেন
তিনি। ডাকা হল রাজ কারিগরকে। কিন্ত এত রাতেকোথায় পাওয়া যাবে মিষ্টি? কিভাবেই বা মিষ্টি
তৈরি হবে? হঠাৎ কারিগর গাভি দুইয়ে দুধ সংগ্রহ করে সেই দুধ উনুনে জ্বাল দিয়ে ছানা তৈরি করে তাতে চিনিমিশিয়ে অল্প সময়ের মধ্যে সুস্বাদু মিষ্টি তৈরি করেমহারাজাকে খেতে দিলেন।মহারাজা খেয়ে খুব খুশি। এমন স্বাদের মিষ্টির নামজানতে চাইলেন তিনি কারিগরের কাছে, কারিগর
কোন কিছু চিন্তা-ভাবনা না করেই বললেন‘কাঁচাগোল্লা’।অন্য এক বর্ণনায় পাওয়া যায়, নিতান্ত দায়ে পড়েই
তৈরি হয়েছিল এই মিষ্টি। শহরের নিচাবাজারে মধুসূদনদাস নামে এক ব্যক্তির দোকান ছিল। নাটোরের প্রসিদ্ধ
এ মিষ্টির দোকান থেকে প্রতিদিন ট্রেনে করে ৪০/৫০ টিন বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি কোলকাতায় যেত। মিষ্টিরটিনের গায়ে লেখ থাকত মধুসূদন দাস।
মধুসূদন দাসের দোকানে বেশ কয়েকটি বড় বড় চুলা ছিল।দোকানে দশ পনের জন দক্ষ কারিগর কাজ করতেন।
একদিন মিষ্টির দোকানের বেশিরভাগ কারিগর আসেনি। মধুসূদনের তো মাথায় হাত! এত ছানা এখন কীহবে? এই চিন্তায় তিনি অস্থির। নষ্টের হাত থেকেরক্ষা পেতে ছানাতে চিনি ঢেলে জ্বাল দিয়ে নামিয়ে
রাখা হয়।দেখা যায়, চিনিমেশানো ছানার দারুণ স্বাদ হয়েছে। নতুন মিষ্টান্নর নাম দেওয়া হলো
কাঁচাগোল্লা।শহরের রানীভবানী প্রতিষ্ঠিত জয়কালী মন্দির সংলগ্ন দ্বারকানাথ কুন্ডু মিষ্টির দোকানে ১৬০ বছর ধরে
সুনামের সঙ্গে কাঁচাগেল্লাসহ অন্যান্য মিষ্টি তৈরি হয়ে আসছে। বড়গাছা এলাকার দ্বারিকা নাথ কুন্ডু একইসঙ্গে ছিলেন কারিগর ও দোকানের মালিক। তার মৃত্যুরপর তার ছেলে ননীগোপাল কুন্ডু দোকানের হাল ধরেন।
তিনি মারা গেলে বর্তমানে তার ছেলে রবীন্দ্রনাথকুন্ডু সুনামের সঙ্গে কাঁচাগোল্লা তৈরি ও বিক্রি
করছেন।বর্তমানে নিচাবাজার কুন্ডুর দোকান, জয়কালি মিষ্টিরদোকান, মৌচাক মিষ্টান্ন ভাণ্ডারসহ বেশ কিছু
দোকানে মানসম্মত কাঁচাগোল্লা পাওয়া যায়। প্রকৃতস্বাদ পেতে হলে প্রতিকেজি কাঁচাগোল্লার দাম পড়বে
শীতের মৌসুমে দেশের
বিভিন্ন স্থান থেকে প্রচুর দর্শনার্থী পর্যটক নাটোরেরজয়কালীবাড়ি, উত্তরা গণভবন, নাটোর রানীভবানী
রাজবাড়িতে ভ্রমণে আসেন। এ সময় কাঁচাগোল্লা
বিক্রির ধুম পড়ে যায়। এছাড়া, ঈদের আগে বিক্রিরপরিমাণ বেড়ে যায়।
নাটোরের বাস টার্মিনাল ও রেল স্টেশনে হকাররা যেকাঁচাগোল্লা বিক্রি করেন, তা আসল কাঁচাগোল্লা নয়।
যাত্রীরা প্রকৃত কাঁচাগোল্লা সম্পর্কে না জানার
সুবাদে এ প্রতারণার আশ্রয় নেয় হকাররা। তাই আসল কাঁচাগোল্লার স্বাদ পেতে শহরের ভেতরের দোকান
থেকে কেনাই বুদ্ধিমানের কাজ।
Saturday, November 3, 2018
বনপাড়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের শুভ উদ্ভোধন
November 03, 2018
শত অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে বনপাড়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের শুভ উদ্ভোধন ঘোষনা করলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশ রত্ন শেখ হাসিনা
গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিং- এর মাধ্যমে ২০ টি মন্ত্রণালয়/বিভাগের আওতায় ৫৬ টি জেলায় ৩২১ টি প্রকল্প/কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা
গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিং- এর মাধ্যমে ২০ টি মন্ত্রণালয়/বিভাগের আওতায় ৫৬ টি জেলায় ৩২১ টি প্রকল্প/কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা
Subscribe to:
Comments (Atom)
Most Popular
-
সকালে বাসা থেকে বের হয়ে একটা ছোট ট্যুর দিয়ে আসতে চাইলে মাওয়া ঘুরে আসতে পারেন। মাওয়া গেলে ৪ টি স্পট একসাথে ঘুরে আসতে পারবেন। ১। মাওয়া ঘাট ...
-
যে দিকে চোখ যায় শুধুই জলরাশি। সে বিস্তৃত জলরাশি জুড়ে ঢেউয়ের খেলা। মাঝে মধ্যে দিগন্ত রেখায় সবুজের আলপনা। এরমধ্যে ঢেউ ভেঙে ছুটে চলেছে শ্যাল...
-
পঞ্চগড় থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দর্শন কিভাবে যাবেন : ঢাকা থেকে হানিফ , নাবিল , শ্যামলীর ভালো ভালো বাস আছে সরাসরি পঞ্চগড় যায় ।...
-
Preprocessor A preprocessor, generally considered as a part of the compiler, is a tool that produces input for compilers. It deals with m...
-
Tower of Hanoi L - rule: 1. must move one disk at a time; 2. a larger disk cannot be on top of any smaller disks at any time 3. do ...
-
গর্ভাবস্থার একদম শুরুতেই সন্তানকে হারিয়ে ফেলেন কেউ কেউ, হয়ে যায় অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভপাত। অনেকেই, বিশেষ করে পুরুষেরা মনে করেন যে ২/১ মাসের সময়ে...
-
নারীর নামে ফেসবুকএ আইডি খুলে পুরুষদের সাথে প্রেমের নাটক সাজিয়ে ফাঁদ পেতে প্রতারনা ও মুক্তিপণ আদায়ের সাথে জড়িত এক না...
-
শুক্রবার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে স্বশরীরে দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন মা ও ছেলে। আর শনিবার মনোনয়নপত্...
-
1.MST. SABRINA SULTANA 2.MSTJANNATUL FERDOUS 3.KHALEDA AKTER 4.MOST. RAFIYA SULTANA 5.MD. ALI REZA 6.SHANCHITA RANI ...
-
নাটোরের কাঁচাগোল্লা, নামেই যার খ্যাতি স্বাদে অতুলনীয় মিষ্টান্ন ‘নাটোরের কাঁচাগোল্লা’। নামে কাঁচাগোল্লা হলেও এ মিষ্টান্নকিন্তু কাঁচা নয়, আবা...