Wednesday, November 14, 2018

সেলেব্রিটি নির্বাচন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে

আহা সেলেব্রিটি নির্বাচন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে
মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন
শাকিল খান- বাগেরহাট ৩
ডিপজল- ঢাকা ১৪
কবরী- ঢাকা ১৭
মমতাজ -মানিকগঞ্জ ২
তারানা হালিম- টাঙ্গাইল ৬
রোকেয়া প্রাচী- ফেনী ৩
মাশরাফি - নড়াইল ২
সংগ্রহ করার কথা রয়েছে
শমী কায়সার - ফেনী ৩
ফেরদৌস- সম্ভাব্য যশোহর ৩
শাকিব খান- সম্ভাব্য গাজীপুর
চিত্রনায়ক ফারুক- গাজীপুর ৫
হিরো আলম বগুরা 4।।
shakil khan dipjol dhaka



















Tuesday, November 13, 2018

নাটোর-১ আসন থেকে এবার নৌকার মাঝি হতে চাইছেন মা, ছেলে ও চাচা

শুক্রবার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে স্বশরীরে দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন মা ও ছেলে। আর শনিবার মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন চাচা।
১৯৮৬ সালের তৃতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী সাবেক সংসদ সদস্য শহীদ মমতাজ উদ্দীনের সহধর্মিণী ও নবম সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেফালী মমতাজ শুক্রবার মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় মায়ের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন শেফালী মমতাজের ছেলে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক শামীম আহম্মেদ সাগর।
এদিকে সাবেক এমপি শহীদ মমতাজ উদ্দীনের ভাই ও শামীম আহম্মেদ সাগরের আপন চাচা দশম সংসদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত বর্তমান সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।
তারা প্রত্যেকেই আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী এবং নৌকা প্রতীকে নির্বাচনে আগ্রহী। মনোনয়ন সংগ্রহের পর তারা আশা প্রকাশ করেন, মনোনয়ন পেলে তারা জয় লাভ করবেন।
একই আসনে মা, ছেলে ও চাচার মনোনয়ন সংগ্রহ নিয়ে এলাকায় জোর আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
এ আসনে ১৯৭৩ সালের প্রথম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নৌকা প্রতীক নিয়ে ডা. আলা উদ্দিন বিজয়ী হন। দ্বিতীয় সংসদ নির্বাচনে আব্দুল মান্নান (বিএনপি) নির্বাচিত হন এবং সংসদের হুইপ নিযুক্ত হন।
১৯৮৬ সালে ৩য় সংসদ নির্বাচনে মমতাজ উদ্দিন (স্বতন্ত্র), ১৯৮৮ সালের ৪র্থ সংসদ নির্বাচনে নওশের আলী সরকার বাদশা (স্বতন্ত্র) নির্বাচিত হন। আর ৫ম থেকে ৭ম পর্যন্ত বিএনপির ফজলুর রহমান পটল নির্বাচিত হন এবং যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হন।
এছাড়া ২০০৮ সালের নবম সংসদে আবু তালহা (জাতীয় পাটি) এবং ২০১৪ সালের দশম সংসদে বর্তমান এমপি আবুল কালাম (আওয়ামী লীগ) বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
abul kalam natore lalpur sagor, swfali












Monday, November 12, 2018

৬১ নাটোর - ৪ আসনে নতুন প্রজন্মের দাবীর মুখে মনোনয়ন পত্র উত্তোলন করলেন মোয়াজ্জেম হোসেন বাবলু ভাই

নিজের মনের সাথে অনেক যুদ্ধ করে, ৬১ নাটোর - ৪ আসনে নতুন প্রজন্মের দাবীর মুখে মনোনয়ন পত্র উত্তোলন করলেন  Moazzem Hossain Bablu। সকলের দোয়া প্রত্যাশা করি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যাকে মনোনয়ন দিবেন। তিনিই হবেন নৌকার মাঝি।
প্রতিটি গ্রামেগন্জে হাটে মাটে যার নির্বাচনীয় গনসংযোগ চলছে ১৫/২০বছর ধরে। যে ব্যাক্তি নাটোর ৪ আসনের প্রতি ঘরের হাঁড়ির খবর পর্যন্ত রাখছেন। যাকে সবাই রাজনীতির যাদুঘর হিসাবে চিনেন। সেই প্রিয় নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন বাবলু ভাই তিনি নির্বাচনে নাটোর ৪ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবেন । খুব তাড়াতাড়ি লক্ষ্য জনতার আশা সপ্ন পুরন করতে বঙ্গবন্ধুর নৌকার মাঝি হয়ে আমাদের মাঝে পিরে আসছেন ইন্সাআল্লাহ । সবাই দোয়া এবং আর্শিবাদ করবেন। প্রিয় নেতার জন্য।


মোয়াজ্জেম হোসেন বাবলু।Moazzem Hossain Bablu বনপারা বারাইগ্রাম নাটোরে














বড়াইগ্রামে আড়াই মণ গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

বড়াইগ্রামে আড়াই মণ গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার র‌্যাব-৫, রাজশাহীর সিপিসি-২, নাটোর ক্যাম্পের একটি অপারেশন দল সোমবার দুপুর ২টার টার দিকে নাটোরের বড়াইগ্রাম থেকে প্রায় আড়াই মণ গাঁজা সহ সোহেল রানা (২৪) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে।
র‌্যাব-৫ এর কোম্পানী কমান্ডার এএসপি মো. আজমল হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কের বড়াইগ্রামের রয়না পেট্রোল পাম্প এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি ট্রাক (ঢাকা মেট্রো-ট-১১-৫৮৯২) আটক করা হয়। পরে সে ট্রাকে তল্লাশী চালিয়ে ৯৮ কেজি ৩’শ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়। আটক সোহেল রানা চাপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার চন্ডীপুর গ্রামের আব্দুল হাসিবের ছেলে। এ ব্যাপারে সোহেল রানার বিরুদ্ধে মাদক আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং রাতে তাকে জেলা হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।




baraigram bonpara natore

Sunday, November 11, 2018

নাটোর-৪ আসনে দলীয় মনোনয়ন ফর্ম জমা দেওয়ার কার্যক্রম সম্পাদন করলেন সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী

আসন্ন জাতীয় একাদশ সংসদ নির্বাচন  নাটোর-৪ (বড়াইগ্রাম- গুরদাস্পুর) আসনে দলীয় মনোনয়ন ফর্ম জমা দেওয়ার কার্যক্রম সম্পাদন করলেন  ডাঃ মোঃ সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী। চেয়ারম্যান বড়াইগ্রাম উপজেলা পরিষদ. স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক,নাটোর জেলা শাখা  Bangladesh Awami League
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৬১ নাটোর ৪ (গুরুদাসপুর- বড়াইগ্রাম) আসনের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ও সহযোগী সংগঠনের বঞ্চিত লাঞ্চিত অবহেলিত অপমানিত নিগৃহীত নেতা কর্মীদের ও নির্বাচনী এলাকার আপামর জনসাধারণের স্বপ্ন পূরণের পথে আরও একধাপ এগিয়ে।
মনোনয়ন পত্র উত্তোলন করা হয়েছে।
মনোনয়ন পত্র দাখিল সম্পন্ন হয়েছে।
এখন শুধু একটু অপেক্ষা করা।

siddqur rahman baraigram bonpara natore



Thursday, November 8, 2018

miscarrige অকাল গর্ভপাত/মিসক্যারেজ সম্পর্কে জেনে রাখুন অত্যন্ত জরুরী বিষয়!

গর্ভাবস্থার একদম শুরুতেই সন্তানকে হারিয়ে ফেলেন কেউ কেউ, হয়ে যায় অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভপাত। অনেকেই, বিশেষ করে পুরুষেরা মনে করেন যে ২/১ মাসের সময়ে তো কেবল ভ্রূণ ছিল, সন্তান হিসাবে বেড়ে ওঠেনি। তাই হয়তো এতটা কষ্ট পাওয়াটা বাড়াবাড়ি। কিন্তু আসলে যার সাথে এই ঘটনা ঘটে, কেবল তিনিই জানেন এর বেদনা। এমন একটি ঘটনা ঘটে পারে যে কোন দম্পতির সাথে। তাই স্বামী ও স্ত্রী উভয়েই জেনে রাখুন এই ৭টি জরুরী ব্যাপার।
১) ২/১ মাস কিংবা মাত্র কয়েক সপ্তাহ হয়েছিল বলেই যে ভ্রূণটি আপনার সন্তান ছিল না, বিষয়টা তেমন নয়। গর্ভপাত আর সন্তান হারানো একই ব্যাপার। তাই শোকের বিষয়টিকে শোক হিসাবেই নিন এবং সাবধান হয়ে যান। নারীরা এই শোক কাটিয়ে ওঠার জন্য প্রায়ই পারিবারিক চাপের মুখে পড়েন, যা একেবারেই অনুচিত। এমন সময়ে স্বামী ও স্ত্রী পরস্পরের অবলম্বন হয়ে থাকতে হবে।
২) গর্ভপাতের জন্য বেশিরভাগ খেত্রেই নারী নিজেকে দোষারোপ করেন, যা একেবারেই অনুচিত। অনেক সময় স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেরাও নারীকেই দোষ দিয়ে থাকেন। এই কাজটি করে উল্টো শোকে কাতর মাকে আরও ভেঙে ফেলা হয়। নারী নিজে নিজেকে দোষ যেমন দেবেন না, তেমনই পরিবারেরও দায়িত্ব তাঁকে দোষ না দেয়া।
৩) এমন কারো সাথে কথা বলুন যিনি এই অবস্থার মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন, এমন একটি দুর্ঘটনা তাঁদের সাথেও ঘটেছে। এই ব্যাপারটি আপনার কষ্ট কম করতে ও পরবর্তী করণীয় বুঝতে খুব সাহায্য করবে।
৪) একটি গর্ভপাত হয়ে গেলো বলেই পুনরায় সন্তান নেয়ার জন্য তড়িঘড়ি শুরু করবেন না, তাহলে পরবর্তীতে আবারও এই দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। শারীরিক ও মানসিক উভয় প্রকার প্রস্তুতিই দরকার আবারও সন্তানের চেষ্টা করে। নারীর যেমন দরকার, তেমনই পুরুষের দরকার। তবে হ্যাঁ, সময়টা নারীর জন্যই বেশী জরুরী।
৫) শরীরকে সেরে ওঠার সময় দিন। সন্তান ধারণ ও অকালে তাঁকে হারিয়ে ফেলা একজন নারীর দেহের জন্য অনেক বড় একটি ধাক্কা। এই ধাক্কা সামলে, নিজেকে যত্ন করে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠুন। এতে মানসিক অবস্থা যেমন ভালো হয়ে উঠবে। তেমনই পরবর্তীতে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা কমে যাবে।
৬) লজ্জিত হবেন না কিংবা নিজেকে চার দেয়ালের মাঝে আটকে রাখবেন না। বাইরে যান, মানুষের সাথে মিশুন। নিজের কষ্টের ব্যাপারে কথা বলুন, লিখুন। ফেসবুক , নলগ থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত ডায়রি, অনেক কিছুই হতে পারে কষ্ট প্রকাশের মাধ্যম।
৭) একবার গর্ভপাত হয়েছে বলেই এটা ধরে নেবেন না যে আপনার আর সন্তান হবে না বা আপনার কোন অসুবিধা আছে। সাহস রাখুন মনে এবং উপযুক্ত ডাক্তারই পরামর্শ নিন। গর্ভপাত মানেই সন্তান ধারণে অসুবিধা নয়।
এই লিখাটি পড়ে আপনি যদি একটু হলেও উপকৃত হন, তবে লিখাটি শেয়ার করে আপনার বন্ধুদের উপকৃত হবার সুযোগ করে দিন !


miscarage okal gorvopat


























Wednesday, November 7, 2018

Travel panchagar পঞ্চগড় থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দর্শন



পঞ্চগড় থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দর্শন

কিভাবে যাবেন:
ঢাকা থেকে হানিফ, নাবিল, শ্যামলীর ভালো ভালো বাস আছে সরাসরি পঞ্চগড় যায় পঞ্চগড়ে থাকার জন্য ৩০০-৫০০টাকায় থাকার হোটেল পাবেন চাইলে সকালে বাস থেকে নেমে গোটা পঞ্চগড় দেখে রাতের বাসে ঢাকায় পোঁছাতে পারবেন খাওয়াদাওয়ার খরচ একেবারেই কম কাঞ্চনজঙ্ঘার দর্শনের পাশাপাশি দেখতে পারেন রৌশনপুর টি এস্টেট, মহারাজার দিঘী, তেঁতুলিয়া ডাক বাংলো সকাল কিংবা পড়ন্ত বিকেলে রৌশনপুর টি এস্টেট এর আশপাশ থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে পারবেন এছাড়াও দেখতে পারবেন মির্জাপুর শাহী মসজিদ, কাজলদিঘী, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর 

কখন যাবেন:
কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে চাইলে এখন থেকে ডিসেম্বরের শুরুর সময় পর্যন্ত পারফেক্ট সময় কাঞ্চনজঙ্ঘা দার্জিলিংয়ের পাহাড় গুলোর দেখা পাওয়ার সর্বোত্তম সময় অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে ডিসেম্বরের শুরুর দিক পর্যন্ত, অর্থ্যাৎ পুরা হেমন্তকালটা, যত দিন আকাশ মেঘ কুয়াশামুক্ত থাকে


পঞ্চগড় north bengal bangladesh travel, কাঞ্চনজঙ্ঘা travel





















Sunday, November 4, 2018

নাটোরের কাঁচাগোল্লা,Naorer kachagolla

নাটোরের কাঁচাগোল্লা, নামেই যার খ্যাতি স্বাদে অতুলনীয় মিষ্টান্ন ‘নাটোরের কাঁচাগোল্লা’। নামে কাঁচাগোল্লা হলেও এ মিষ্টান্নকিন্তু কাঁচা নয়, আবার দেখতে গোলও নয়। খাঁটি দুধের তৈরি ছানা আর পরিমাণমত চিনি দিয়ে তৈরি হয় একাঁচাগোল্লা।কাঁচাগোল্লা তৈরির সঙ্গে যারা সরাসরি জড়িত ছিলেন, সেসব কারিগরদের উত্তরসূরিদের বেশিরভাগই
ভারত ও পাকিস্তান বিভক্ত হওয়ার পর ভারতে চলে যান।অনেকেই এ পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় চলে গেছেন।
সর্বোপরি কাঁচাগোল্লা নিয়ে কোনো গবেষণার কথাও শোনা যায় না। তাই কাঁচাগোল্লার সঠিক ইতিহাস তুলে
ধরা দূরহ ব্যাপার।কাঁচাগোল্লা তৈরি শুরু হয় ঠিক কবে তা নিয়ে খোদ
নাটোর শহরেই ভিন্ন ভিন্ন জনশ্রুতি রয়েছে। শহরের শুকুলপট্টি এলাকার লোকজনদের মধ্যে জনশ্রুতি রয়েছে,
নাটোরের রাজস্ট্যাটের বড় তরফের নাজা গোবিন্দ্রনাথের স্ত্রী ব্রজসুন্দরীর দত্তকপুত্র মহারাজা
জগদ্রিন্দ্রনাথ নাথ রায় একটু খেয়ালী প্রকৃতির ছিলেন।একদিন গভীর রাতে মিষ্টি খাওয়ার বায়না ধরেন
তিনি। ডাকা হল রাজ কারিগরকে। কিন্ত এত রাতেকোথায় পাওয়া যাবে মিষ্টি? কিভাবেই বা মিষ্টি
তৈরি হবে? হঠাৎ কারিগর গাভি দুইয়ে দুধ সংগ্রহ করে সেই দুধ উনুনে জ্বাল দিয়ে ছানা তৈরি করে তাতে চিনিমিশিয়ে অল্প সময়ের মধ্যে সুস্বাদু মিষ্টি তৈরি করেমহারাজাকে খেতে দিলেন।মহারাজা খেয়ে খুব খুশি। এমন স্বাদের মিষ্টির নামজানতে চাইলেন তিনি কারিগরের কাছে, কারিগর
কোন কিছু চিন্তা-ভাবনা না করেই বললেন‘কাঁচাগোল্লা’।অন্য এক বর্ণনায় পাওয়া যায়, নিতান্ত দায়ে পড়েই
তৈরি হয়েছিল এই মিষ্টি। শহরের নিচাবাজারে মধুসূদনদাস নামে এক ব্যক্তির দোকান ছিল। নাটোরের প্রসিদ্ধ
এ মিষ্টির দোকান থেকে প্রতিদিন ট্রেনে করে ৪০/৫০ টিন বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি কোলকাতায় যেত। মিষ্টিরটিনের গায়ে লেখ থাকত মধুসূদন দাস।
মধুসূদন দাসের দোকানে বেশ কয়েকটি বড় বড় চুলা ছিল।দোকানে দশ পনের জন দক্ষ কারিগর কাজ করতেন।
একদিন মিষ্টির দোকানের বেশিরভাগ কারিগর আসেনি। মধুসূদনের তো মাথায় হাত! এত ছানা এখন কীহবে? এই চিন্তায় তিনি অস্থির। নষ্টের হাত থেকেরক্ষা পেতে ছানাতে চিনি ঢেলে জ্বাল দিয়ে নামিয়ে
রাখা হয়।দেখা যায়, চিনিমেশানো ছানার দারুণ স্বাদ হয়েছে। নতুন মিষ্টান্নর নাম দেওয়া হলো
কাঁচাগোল্লা।শহরের রানীভবানী প্রতিষ্ঠিত জয়কালী মন্দির সংলগ্ন দ্বারকানাথ কুন্ডু মিষ্টির দোকানে ১৬০ বছর ধরে
সুনামের সঙ্গে কাঁচাগেল্লাসহ অন্যান্য মিষ্টি তৈরি হয়ে আসছে। বড়গাছা এলাকার দ্বারিকা নাথ কুন্ডু একইসঙ্গে ছিলেন কারিগর ও দোকানের মালিক। তার মৃত্যুরপর তার ছেলে ননীগোপাল কুন্ডু দোকানের হাল ধরেন।
তিনি মারা গেলে বর্তমানে তার ছেলে রবীন্দ্রনাথকুন্ডু সুনামের সঙ্গে কাঁচাগোল্লা তৈরি ও বিক্রি
করছেন।বর্তমানে নিচাবাজার কুন্ডুর দোকান, জয়কালি মিষ্টিরদোকান, মৌচাক মিষ্টান্ন ভাণ্ডারসহ বেশ কিছু
দোকানে মানসম্মত কাঁচাগোল্লা পাওয়া যায়। প্রকৃতস্বাদ পেতে হলে প্রতিকেজি কাঁচাগোল্লার দাম পড়বে
শীতের মৌসুমে দেশের
বিভিন্ন স্থান থেকে প্রচুর দর্শনার্থী পর্যটক নাটোরেরজয়কালীবাড়ি, উত্তরা গণভবন, নাটোর রানীভবানী
রাজবাড়িতে ভ্রমণে আসেন। এ সময় কাঁচাগোল্লা
বিক্রির ধুম পড়ে যায়। এছাড়া, ঈদের আগে বিক্রিরপরিমাণ বেড়ে যায়।
নাটোরের বাস টার্মিনাল ও রেল স্টেশনে হকাররা যেকাঁচাগোল্লা বিক্রি করেন, তা আসল কাঁচাগোল্লা নয়।
যাত্রীরা প্রকৃত কাঁচাগোল্লা সম্পর্কে না জানার
সুবাদে এ প্রতারণার আশ্রয় নেয় হকাররা। তাই আসল কাঁচাগোল্লার স্বাদ পেতে শহরের ভেতরের দোকান
থেকে কেনাই বুদ্ধিমানের কাজ।

 naorer kachagolla natore bangladesh

Saturday, November 3, 2018

বনপাড়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের শুভ উদ্ভোধন

শত অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে বনপাড়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের শুভ উদ্ভোধন ঘোষনা করলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশ রত্ন শেখ হাসিনা 

গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিং- এর মাধ্যমে ২০ টি মন্ত্রণালয়/বিভাগের আওতায় ৫৬ টি জেলায় ৩২১ টি প্রকল্প/কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা



Thursday, November 1, 2018

বড়াইগ্রাম থানার ভোটার আইডি কার্ড বিতরণের তারিখ ও সময়-সূচি প্রকাশ

বড়াইগ্রাম উপজেলায়  ভোটার আইডি কার্ড দেওয়ার সময়সূচী নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। উল্লেখ্য তারিখ ও সময়ে নিজ নিজ ইউনিয়ন, পৌরসভা কার্যালয় থেকে ভোটার আইডি কার্ড সংগ্রহ করুন
(২০১২ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত যারা নতুন ভোটার হয়েছেন তাদের জন্য 

বিঃদ্রঃ স্মার্ট আইডি কার্ড বিতরণ করতে আরো কয়েকমাস সময়ের প্রয়োজন। তাই আপাতত লেমোলেটিং ভোটার আইডি কার্ড।শেয়ার করে জানিয়ে দিন। ধন্যবাদ।

Travel cholon bil, Natore চলনবিল, নাটোর প্রকৃতির লীলাভূমি

যে দিকে চোখ যায় শুধুই জলরাশি। সে বিস্তৃত জলরাশি জুড়ে ঢেউয়ের খেলা। মাঝে মধ্যে দিগন্ত রেখায়
সবুজের আলপনা। এরমধ্যে ঢেউ ভেঙে ছুটে চলেছে শ্যালো নৌকা। আছে মাছধরারনানা আয়োজনও। এটাই বর্ষা মৌসুমের চলন বিল।দেশের বিস্তৃত এক জলাভূমির নাম চলনবিল। নাটোর-সিরাজগঞ্জ-পাবনা জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে এ বিলেরঅবস্থান। শুকনো মৌসুমে বিলের আয়তন অনেক কমে গেলেওতা প্রাণ ফিরে পায় বর্ষাকালে। তাই ভ্রমণ পিপাসুদের এই
মৌসুমে চলনবিল হতে পারে উপযুক্ত গন্তব্য।ফিরে দেখা : ব্রহ্মপুত্র নদ যখন তার প্রবাহপথ পরিবর্তন
করে বর্তমান যমুনায় রূপ নেয়, সে সময়ই চলনবিলের সৃষ্টি।গঠিত হওয়ার সময় চলনবিলের আয়তন ছিল প্রায় ১ হাজার
৮৮ বর্গকিলোমিটার। তবে বর্তমানে এর আয়তন অনেককমে এসেছে। চলনবিল মূলত অনেকগুলো ছোট ছোট বিলের
সমষ্টি মাত্র। বর্ষায় এই বিলগুলোতে জলপ্রবাহবেড়ে একসঙ্গে বিশাল এক বিলের সৃষ্টি করে। সিরাজগঞ্জ
জেলার তাড়াশ-রায়গঞ্জ, পাবনা জেলার চাটমোহর-ভাঙ্গুড়া-ফরিদপুর এবং নাটোর জেলার সিংড়া-গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম
উপজেলাজুড়ে এ বিলের বিস্তৃতি। বিলটির দক্ষিণ-পূর্ব প্রান্তপাবনার নুননগরের কাছে অষ্টমনীষা পর্যন্ত বিস্তৃত। নাটোরের
সিংড়া থেকে গুমনী পাড়ের কছিকাটা পর্যন্ত বিলটি প্রায় ২৪কিলোমিটার দীর্ঘ।নাটোরের চলনবিল : চলনবিলের সবচেয়ে বড় অংশ
পড়েছে নাটোরে। জেলার সিংড়া উপজেলায় রয়েছে চলনবিলেরএকটি অংশ। এ ছাড়া সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল
থেকে বনপাড়া পর্যন্ত দীর্ঘ সড়ক তৈরি হয়েছে চলনবিলের
ওপর দিয়েই। সড়কের দুইপাশে যেদিকে চোখ যায় শুধুঅথৈ জলরাশি। এ পথে চলতে চলতে চলনবিলের সৌন্দর্য
উপভোগ করা যায় দু’চোখ ভরে। নিজেদেরগাড়িতে গেলে ইচ্ছামতো থেমে থেমে চলনবিল দেখা যায়।
চলনবিলের আকর্ষণীয় একটি অংশ হাইতি বিল।এটি নলডঙ্গা উপজেলায়। নাটোর জেলা শহর থেকে প্রায় আট
কিলোমিটার দূরে এ বিলের অবস্থান। এ বিলটিকে দেশেরসবচেয়ে গভীর বিল বলা হয়। প্রায় ১২ মিটার গভীর এ
বিলে সারা বছরই পানি থাকে। তবে বর্ষায় পানির পরিমাণ অনেকবেড়ে যায়।
চলনবিল জাদুঘর : গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজীপুরগ্রামে আছে চলনবিল জাদুঘর। বিখ্যাত ‘চলনবিলের ইতিকথা’
গ্রন্থের লেখক অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদের প্রচেষ্টায় ১৯৭৮সালে গড়ে উঠেছে বিচিত্র এ জাদুঘর। চলনবিলে প্রাপ্ত নানান
নিদর্শন, মাছ ধরার বিভিন্ন সরঞ্জাম ছাড়াওএখানে আছে অনেক দুর্লভ সংগ্রহ। নাটোর
থেকে বাসে গুরুদাসপুর উপজেলায় এসে সেখানথেকে নন্দকুঞ্জা নদী পার হয়ে রিকশায় আসা যাবে খুবজীপুর
গ্রামের এ জাদুঘরে। শনিবার জাদুঘর বন্ধ থাকে।যাতায়াত ও থাকা : ঢাকার গাবতলী থেকে হানিফ এন্টারপ্রাইজ,
শ্যামলী পরিবহণ, ন্যাশনাল পরিবহণসহপ্রভৃতি বাসে যাওয়া যায় নাটোর।
রাজশাহীগামী যে কোনো বাসেই নাটোর আসা সম্ভব।ভাড়া ৩৫০-৪০০ টাকা। নাটোরের চলনবিল অংশ
দেখতে গেলে থাকতে হবে নাটোর জেলা সদরে। এ শহরে থাকারজন্য সাধারণ মানের কিছু হোটেল আছে। শহরের
চকরামপুরে হোটেল ভিআইপি (ফোন: ০৭৭১-৬৬০৯৭, নন
এসি কক্ষ ২০০-৩০০ টাকা), মাদ্রাসা রোডে হোটেল
উত্তরা (ফোন: ০৭৭১-৬২৫১৯, নন এসি কক্ষ ২০০ টাকা),
মাদ্রাসা মোড়ে হোটেল মিল্লাত (ফোন: ০৭৭১-৬১০৬৫, নন
এসি কক্ষ ২৮০ টাকা), কানাইখালীতে হোটেল আরপি (ফোন:
০৭৭১-৬২৫৭৯, নন এসি কক্ষ ২৭০ টাকা)।
সিরাজগঞ্জের চলনবিল : জেলার রায়গঞ্জ ও তাড়াশউপজেলার বিশাল অংশ জুড়ে রয়েছে চলনবিলের অংশ বিশেষ।
চলনবিলের বেশ কয়েকটি বিল পড়েছে এ উপজেলা দুটিতে।বর্ষায় বেড়াতে এলে চলনবিলের এসব জায়গায়বেড়ানো যেতে পারে।
যাতায়াত ও থাকা : ঢাকা থেকে সিরাজগঞ্জ আসা যায় সড়ক ওরেল পথে। ঢাকার মহাখালী থেকে সৌরভ পরিবহণ
(০১১৯৯১২২৩৪৫), এস আই এন্টারপ্রাইজ
(০১৭১২৬৭৮৬৪৯), গাবতলী থেকে ইউনিক সার্ভিস
(০১১৯০৮০৬৪৭৭) ইত্যাদি পরিবহণের বাস যায়
সিরাজগঞ্জে। ভাড়া ২৭০ টাকা। সিরাজগঞ্জ থেকে রায়গঞ্জও তাড়াশ উপজেলায় আসা যাবে লোকাল বাসে। সিরাজগঞ্জ
শহরে থাকার জন্য ভালো মানের হোটেল হলো শহরের স্বাধীনতা স্কোয়ারে হোটেল আল হামরা, (ফোন:
০৭৫১-৬৪৪১১, ০১৭৪৫৬২৯২৬৪, এসি এক শয্যার কক্ষ
৫০০ টাকা, এসি দ্বি শয্যার কক্ষ ৭০০ টাকা, নন এসি এক
শয্যার কক্ষ ১৫০, নন এসি দ্বি শয্যার কক্ষ ২৫০ টাকা)।
পাবনার চলনবিল : চাটমোহর উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার দূরে চলনবিলের অংশের শুরু। এখানেই ‘চলনবিলীয়া’
নামে খ্যাত চাটমোহর-ছাইকোলা সড়কের দু’ধারে থৈ থৈ জলের নয়াভিরাম দৃশ্য ও নৌকা ভ্রমণ, নৌকা বাইচ দেখার জন্য
বর্ষাকালের শুক্র ও শনিবার হাজার হাজার ভ্রমণ পিপাসুদেরসমাগম ঘটে। হান্ডিয়ালের মহাদেব মন্দির, জগৎশেঠের বাংলো,
বুড়ো পীরের মাজার দেখতে যেতে পারেন। যেতে পারেন সমাজ-শীতালই গ্রামে। সেখানে সম্রাট শের শাহ পুত্র শাহজাদা সলিম
নির্মিত মসজিদ, আশরাফ জিন্দানী (রহঃ) এর মাজার ও একটু দূরেই শীতালই জমিদার বাড়ি। থাকার ব্যবস্থা চাটমোহরশহরে আছে। নতুন সরকারি ডাক বাংলো ও পল্লী বিদ্যুতেরঅতিথিশালা (এসি)। ভাড়া দু’টোতেই সাশ্রয়ী।যাতায়াত ও থাকা : ঢাকা থেকে সরাসরি পাবনা যাওয় যায়
সড়কপথে। প্রতিদিন সকাল ৫টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত
বিভিন্ন সংস্থার বাস চলাচল করে এ পথে। পাবনা এক্সপ্রেস
(০১৭১১০২৪০৮৮), শ্যামলী পরিবহণ, শাহজাদপুর ট্রাভেলস,
রাজা বাদশা পরিবহণ (০১৭১৬৩০৭৫২০), কিংস পরিবহণ
(০১৭১১৪৮০৩১৫), বাদল গ্রান্ড চয়েজ (০১৬৭১৬৪০৬৪২),
সরকার ট্রাভেলসে (০১৭২৫৪৪২৬৪৬) যেতে পারেন পাবনায়।
এসব পরিবহণের সাধারণ চেয়ার কোচ চলে এ পথে। ভাড়া ৩৫০
টাকা। পাবানা শহরে রাত্রিযাপন করার জন্য ভালো মানের
হোটেল হলো শহরের জালালপুরে প্রশান্তি ভুবন পার্ক
(০১৭১২৮৮৫৭৮২, এসি কক্ষ ১২০০-১৫০০, সাধারণ কক্ষ
৮০০ টাকা), হোটেল পার্ক (০১১৯৭০৮৩৩০১, এসি কক্ষ
২৫০-৬০০ টাকা), হোটেল শীল্টন (০১৭১২৪৩৩২৫০,
এসি কক্ষ ৭০০, সাধারণ কক্ষ ২০০-৩০০ টাকা)।
কীভাবে বেড়াবেন : চলনবিলে বেড়ানোর জন্য স্থানীয়নৌকা পাওয়া যাবে ভাড়ায়। সারা দিনের জন্য ভালো মানের
একটি নৌকার ভাড়া পড়বে ৫০০-৮০০ টাকা। এ ছাড়া ইঞ্জিন
চালিত শ্যালো নৌকা মিলবে ১০০০-২০০০ টাকায়।
চলনবিলে বেড়ানোর জন্য সাধারণ নৌকাই ভালো। কারণ,ইঞ্জিন নৌকার শব্দ আপনার বিরক্তির কারণ হতে পারে।
সতর্কতা : যারা সাঁতার জানেন না,তারা চলনবিলে ভ্রমণে গেলে অবশ্যই লাইফ জ্যাকেট সঙ্গে নেবেন। নৌকায় ভ্রমণকালে হৈ চৈ, লাফালাফি করবেন না। এতে যে কোনো সময় দুর্ঘটনার শিকার হতে পারেন।
ঝড়ো বাতাস উঠলে চলনবিলের পানিতে বিশাল বিশাল ঢেউয়েরসৃষ্টি হয়।
















Most Popular

Football