Tuesday, January 29, 2019

একদিনের মাওয়া ভ্রমণ! ১। মাওয়া ঘাট ২। পদ্মা রিসোর্ট ৩। মৃধা বাড়ি ৪। শামুর বাড়ি


সকালে বাসা থেকে বের হয়ে একটা ছোট ট্যুর দিয়ে আসতে চাইলে মাওয়া ঘুরে আসতে পারেন। মাওয়া গেলে ৪ টি স্পট একসাথে ঘুরে আসতে পারবেন।
১। মাওয়া ঘাট
২। পদ্মা রিসোর্ট
৩। মৃধা বাড়ি
৪। শামুর বাড়ি
সবমিলিয়ে প্রতিজন খরচ হবে ৪০০ টাকার মতন।
কিভাবে যাবেন:
ঢাকার গুলিস্তান থেকে বাসে যেতে পারবেন মাওয়া। নন এসি বাস জনপ্রতি ৭০ টাকা আর এসি ১০০ টাকা ভাড়া। ১০/১২ জনের গ্রুপ হলে একটা নোয়া গাড়ি কিংবা মাইক্রো ভাড়া করেও চলে যেতে পারেন। ঢাকা থেকে মাওয়া প্রায় ৪০ কিলোমিটার। আমরা ৮ জন ছিলাম। একটা নোয়া নিয়ে গিয়েছিলাম। সকাল-সকাল ৮ টার দিকে রওনা দিয়ে ২ ঘণ্টার কম লেগেছে পৌঁছাতে। রাস্তার এবং ব্রিজের কাজ চলায়, রাস্তার অবস্থা খুব একটা ভালো না এখন। যাওয়ার চেয়ে ঢাকায় ফেরার পথের অবস্থা বেশি খারাপ।
আমরা প্রায় ১১ টার দিকে মাওয়া ঘাট পৌঁছে যাই। এরপর সেখানে দেরি না করে চলে যাই পদ্মা রিসোর্ট। গাড়ি থাকলে তো ডাইরেক্ট চলে গেলেন আর নাইলে ঘাট থেকে অটো ভাড়া করেও যেতে পারেন। অটো ভাড়া জনপ্রতি ৩০ টাকা। মাওয়া ঘাট থেকে পদ্মা রিসোর্ট ৬ কিলোমিটার। এরপর ওইখানে যাবার পর ইঞ্জিন চালিত নৌকা দিয়ে নদী পার হয়ে রিসোর্টে যেতে হয়। নদী পার হতে ৫ মিনিট সময় লাগে। পদ্মা রিসোর্টের নিজস্ব নৌকা রয়েছে যেখানে অনায়াসে ১৫/২০ জন বসতে পারে। নৌকার মাঝিকে ৫০ টাকা দিতে হবে, নৌকা পারাপারের ভাড়া আর রিসোর্টে ঢুকার এন্ট্রি ফী হলো এই ৫০ টাকা। ফেরার সময় নৌকায় আর ভাড়া দিতে হবে না। অর্থাৎ নৌকা দিয়া যাওয়া + আসা + রিসোর্ট এন্ট্রি = জনপ্রতি ৫০ টাকা।
রিসোর্টে যাবার পর আপনি দেখতে পাবেন ছোট ছোট অনেক কটেজ রয়েছে। খুব সুন্দর ডিজাইন এবং রঙ একেকটা কটেজের। এরপর আপনি চাইলে এখানে ২ ঘন্টার মতন সময় কাটাতে পারেন। এরপর আমরা ১:৩০ টার দিকে আবার মাওয়া ঘাটে যাই। সেখানে গিয়ে দুপুরের খাবার খাই আমরা। অনেক হোটেল রয়েছে সেখানে, রয়েছে হরেক রকমের খাবার। ভিডিওতে আইটেমগুলোর একটা ওভারভিউ দেয়া হয়েছে, দেখে নিবেন। যদি অনেকজন থাকেন, তাহলে গোটা ইলিশ কিনতে পারেন। ৭/৮ পিস হয়। পুরো ইলিশ ভাজা + লেজের ভর্তা সহ আমাদের নিয়েছিলো ৬০০ টাকা। ভাত = ১৫ টাকা, আলু ভর্তা = ১০ টাকা, বেগুন ভাজি = ১৫ টাকা, টাকি মাছের ভর্তা = ২০ টাকা।
এরপর দুপুরের খাবার শেষে আমরা রওনা দেই মৃধা বাড়ির উদ্দেশ্যে। ফেরি ঘাট থেকে মৃধা বাড়ি প্রায় ১১ কিলোমিটার। মৃধা বাড়িটি ৩ তলা একটি টিনের বাড়ি যা দেখতে খুবই সুন্দর এবং এর চারপাশে রয়েছে বাগান। (ভিডিও তে মৃধা বাড়ি দেখতে পাবেন) এরপর আমরা চলে যাই শামুর বাড়ি। শামুর বাড়ি প্রায় ২ কিলোমিটার হবে মৃধা বাড়ি থেকে। যদি আপনি মৃধা বাড়িতে আসেন তাহলে শামুর বাড়ি যাবার জন্য অবশ্যই রিজার্ভ করে আসবেন নাহলে সেখানে আর অটো পাবেন না। মৃধা বাড়ি ঘুরতে আপনার সর্বোচ্চ ৩০ মিনিট লাগবে। তাই আধা ঘণ্টার মতন ঘুরে, এরপর আমরা চলে যাই শামুর বাড়ি।
শামুর বাড়ি তে গেলে আপনি সবচেয়ে বেশি উপভোগ করবেন। এই ভিডিওর শেষ অংশ জুড়ে পুরোটাই শামুর বাড়ি। এখান থেকেই দেখতে পাবেন নদীর অপরূপ সৌন্দর্য। খুব অনায়াসেই আপনি ২ ঘণ্টা কাটিয়ে দিতে পারবেন। সবচেয়ে বেশি উপভোগ করবেন যখন সূর্যের তেজ কমে আসবে এবং সূর্যের আভা পানিকে স্পর্শ করবে। খুবই অপরূপ সেই সৌন্দর্য। সময় থাকলে আপনি নদীতে নৌকা দিয়েও ঘুরতে পারেন। আমাদের সময় না থাকায় আমরা সেখান থেকে বিকাল ৫ টায় ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেই। পদ্মা রিসোর্ট ঘুরতে গেলে, আমি বলবো অবশ্যই শামুর বাড়ি ঘুরে আসবেন। খুবই সুন্দর জায়গাটা।
দূরত্ব:
ঢাকা থেকে মাওয়া ৪০ কিলো, মাওয়া ঘাট থেকে পদ্মা রিসোর্ট ৬ কিলো, পদ্মা রিসোর্ট থেকে মৃধা বাড়ি ৫ কিলো, মৃধা বাড়ি থেকে শামুর বাড়ি ২ কিলো।

























1 comment:

  1. এখন কি মাওয়া তে সব দোকান আছে নাকি উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে?

    ReplyDelete

Most Popular

Football